Transrealism

ট্রান্সরিয়েলিজম

 

"Transrealism's stance against consensus reality identifies it as a postmodern literature akin to surrealism and covering much the same ground as slipstream literature."


ট্রান্সরিয়েলিজম নিয়ে বিভিন্ন দেশে আলোচনা হচ্ছে । কিভাবে লেখক ও পাঠকের ভাববিনিময় আরও কাছা কাছি আনা যায় । কল্পবিজ্ঞানের উপাদানগুলো নিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে বাস্তব কথাসাহিত্যের ক্ষেত্রে । স্থানীয় সাহিত্যের যে সমস্ত কলা কৌশল রয়েছে তার সংগে যুক্ত হচ্ছে কল্পবিজ্ঞানের ব্যবহারযোগ্য উপাদান । কথা বলা বা তার কৌশলগুলি মিশ্রিত হচ্ছে যান্ত্রিক পদ্ধতি, ভাষা প্রকাশের টেকনিক্যালিটি ।  দুটি পদ্ধতির শক্তিগুলির সমন্বয় করার সময়, এটি একটি বাইপ্রোডাক্টের মত প্রতিক্রিয়া হিসাবে আসছে এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে ।


Transrealism কি ২১ শতকের প্রথম সাহিত্য আন্দোলন হতে পারে ? এটা ঠিক কল্পবিজ্ঞান নয় আবার বাস্তববাদ ও নয় । মাঝ-বরাবর যা মাকুর মতো ধাক্কা খেয়ে আসে এপার ওপার থেকে ।  ‘consensus reality’ থেকে এর আলাদা উত্তরণ । ড্যামিয়েন ওয়াল্টার , স্টিফেন কিং, ফিলিপ কে ডিক রা transrealism নিয়ে কথা বলছেন ।


সীমানা নির্ধারণ করা আর সীমানা অতিক্রম করে যাবার কথা বলছেন ফিলিপ কে ডিক । সাধারণত উপন্যাসেই ঘোরা ফেরা করে কল্পবিজ্ঞান তবুও কথাসাহিত্যের নানান বিভাগেও ছড়িয়ে পড়ছে কল্পনার বিভিন্ন চরিত্র ।


Transrealism  ও তার প্রধান সমর্থক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিজ্ঞান কথাসাহিত্য লেখক রুডি রকার। রকার "ফিলিস্তিন ডিকের এ স্ক্যানার ডার্কলি" "ট্রান্সেন্ডেন্ডাল আত্মজীবনী" হিসেবে বর্ণিত "1985 সালে" একটি ট্রানজিস্টিক মেসেফেসো "শিরোনামে ছোটোখাটো প্রবন্ধের নীতিসমূহের ব্যাখ্যা করার পর" ট্রানিয়ালিজম "শব্দটি উদ্ভাবন করেছেন। রকার তার অনেকগুলি এই নীতিমালাতে তার ছোট্ট প্রয়োগ করেছেন গল্প এবং উপন্যাস, বিশেষ করে হোয়াইট লাইট এবং সসার উইজডম। ড্যামিয়েন ব্রোডারিক কিছু কিছু লেখককে সনাক্ত করেছেন যা কিছুদিন ট্র্যাভরিয়ালস্ট ট্রপ ব্যবহার করে মার্টিন আমিস, মার্গারেট এটউড, ইয়ান ব্যাংক, জন বার্থ, জে.জি. বেলার্ড, জন কলানভিন বাট্খেলর, জনাথন ক্যারল, ফিলিপ কে ডিক বিশেষতঃ কারেন জয়ো ফাউলার, লিসা গোল্ডস্টাইন, জেমস মরো, টমাস পিনচোন, জোয়ানা রাস এবং জেমস টিপট্রি জুনিয়র।


'আ স্ক্যানার ডার্কলি' ফিলিপ কে ডিকের সবচেয়ে বিখ্যাত কিন্তু সবচেয়ে বিভেদমূলক উপন্যাসগুলির একটি। এটি, 1973 সালে লেখা কিন্তু 1977 সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। পি কে ডি এর কেরিয়ারের মধ্যবর্তী সময়ের উপন্যাসগুলির মধ্যে এটি এক বিশেষ শ্রেণীভুক্ত যা স্পষ্টভাবে কল্পবিজ্ঞান। ওনার এই ধরনের লেখার অন্যান্য উদাহরণ হল, 'দ্য ম্যান দ্য হাই কাসল' এবং 'ডু অ্যান্ড্রয়েড ড্রিম অফ ইলেকট্রিক শীপ'। কিন্তু, ওনার সাহিত্যজীবনের পরবর্তী কাজ তর্কাতীতভাবে এই কল্পবিজ্ঞানের ধারাকে  পিছনে ফেলে এসেছে। 'ভ্যালিস' এবং 'দ্য ডিভাইন ইনভেসন' ওনার পরবর্তী কাজের উদাহরণ।


'আ স্ক্যানার ডার্কলি'তে দুটি আলাদা কাহিনীকে এক গল্পের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। মানসিক ক্ষমতা কমিয়ে দেয় যে সব ড্রাগ সেই ড্রাগ ব্যবহার এবং এক প্রায় কল্প-বৈজ্ঞানিক গল্পের পরিসর  তৈরি হয়েছে এখানে।মাদকাসক্তদের মধ্যে বসবাস করার কারণে, ডিক'এর সময়ের একটি বাস্তবসম্মত আত্মজীবনীর ছবি গৌণ হলেও এই উপন্যাসে দেখা যায়।

লেখক, সমালোচক এবং গণিতবিদ রুডি রুকার 1983-এ 'ট্রান্স রিয়েলিস্টিক  ম্যাগনিফেস্টো' নামের একটি প্রবন্ধে লেখেন, ডিক'এর এই উপন্যাসটি এক সাহিত্য আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটিয়েছে, যার নাম রাখা যেতে পারে 'ট্রান্স রিয়েলিজম'।১৯৮৩ এর তিন দশক পরে, এমনকি এখনও রুকারের প্রবন্ধ সমসাময়িক  সাহিত্যচর্চায় যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। কিন্তু রুকার যখন প্রবন্ধটি লেখেন তখন কল্পবিজ্ঞান এবং মূলধারার গল্প- উপন্যাসে স্পষ্ট বিভাজন ছিল। আজ এই দুই ধারাকে  আলাদা করা খুব কঠিন।  মনে হয় এখন, এই একুশ শতকের প্রথম দিকে এসে, রুকার প্রস্তাবিত 'ট্রান্স রিয়েলিজম' অবশেষে চরম ফলপ্রসূ হতে পেরেছে।


পুরোপুরি বাস্তবতায় শেকড় গেঁথে যেসব উপন্যাস লেখা হয়  ট্রান্সরিয়েলিজম সেসব উপন্যাস লেখার প্রয়াসকে সমর্থন করে ও যেকোন রকমের বানানো প্লট বা কৃত্রিম চরিত্রসমূহকে সরাসরি নাকচ করে দেয়। লেখক এর অভিজ্ঞতা থেকে সরাসরি আঁকা  মানবিক চরিত্র ও বাস্তব ঘটনার পক্ষে ট্রান্সরিয়েলিজম  সওয়াল করে কিন্তু এই বাস্তবসম্মত ট্যাপেস্ট্রি থেকেই লেখক এক সুতোর অসম্ভব অথচ সুন্দর ধারণার জাল বুনতে পারেন যেগুলো অনেক সময়েই কল্পবিজ্ঞান, রূপকথা বা ভয়ের কল্পকাহিনী থেকে নেওয়া।  তাই একজন ট্রান্স রিয়েলিস্টিক লেখক যখন আমেরিকান হাইস্কুলের একটি বিস্তারিত এবং বাস্তবসম্মত চিত্রকল্প তৈরি করেন তখন এক অন্যগ্রহের উড়ন্ত ফ্লাইং সসার আবিষ্কার করেন যার ফলে এক অতি সাধারণ যুবক  সুপার পাওয়ার পেয়ে যায়।

রুকার'এর অভিপ্রায় আরও ভালভাবে বুঝতে ট্রান্স রিয়েলিস্টিক হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করে না এমন কয়েকটি কাজ  তথ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হল। যেমন, জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি বা কল্পবিজ্ঞানের গল্প  হ্যারি পটার বা দ্য হাঙ্গার গেমস' এর মধ্যে ট্রান্সরিয়েলিজম নিয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট বাস্তবতা নেই। কখনও কখনও বাস্তবসম্মত বর্ণনা এবং গল্পের মধ্যে চমৎকার সব উপকরণ থাকা সত্ত্বেও  হাইটেক গিজমো সমন্বিত স্পাই থ্রিলারস জাতীয় লেখাগুলো ট্রান্সরিয়েলিস্টিক হিসেবে ব্যর্থ হয় কারণ তাদের প্লট ও আর্কেপটাইল চরিত্রগুলো বাস্তব থেকে খুব দূরে। ট্রান্সরিয়েলিজম আসলে বাস্তব এবং কল্পজগতের এক সুনির্দিষ্ট সংমিশ্রণ, যার এক বিশেষ উদ্দেশ্য আছে এবং যেটি সমসাময়িক পাঠকদের অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।


Transrealism অনুযায়ী মনে রচনার প্রাথমিকতা আসে বাস্তবতার দিক থেকে যেখানে কৃত্রিম অনুষঙ্গকে গৌণ বা না বরাবর রাখা হয় ।  অবাস্তব প্লট সমূহকে বাদদিয়ে , মিথকে সরিয়ে স্থাপন করা জলজ্যান্ত মানুষের কথা, আসল ঘটনা যা লেখক তার চারপাশে দেখছেন প্রতিদিন । কবিতার ক্ষেত্রেও আমরা অনেকটা লক্ষ্য করছি ধীরে ধীরে যায়গা করে নিচ্ছে আজকের দিনের ঘটনার ঘনঘটা । ম্যাসিন, মোবাইল, ইন্টারনেট, চারিদিকের আকাশচুম্বী বিল্ডিং আর শহরের ব্যস্ততা । এ সমস্তই কবির নিজস্ব দেখা, আর কল্পনার জগত থেকে কিছুটা আলাদা । কবি নিজেকে আলাদা করতে করতে, জীবনের বিভিন্ন ধাপকে সিঁড়ি করে এগোচ্ছে, ম্যাজিক থেকে নিজের অভিজ্ঞতার উপর বেশী করে আলো ফেলছেন । ভিন গ্রহের প্রাণী বা অন্য কোন পরাবাস্তবতা লেখার মধ্যে ধীরে ধীরে লুপ্তপ্রায় । বলা যায় পোস্ট মডার্ণ যুগের শেষে এমন একটা সাহিত্য যুগ আসতে চলেছে যা অনেকটাই নিজের চোখে দেখা যাদুবাস্তবতা ।


Transrealism aims for a very specific combination of the real and the fantastic, for a very specific purpose, that seems to have become tremendously relevant for contemporary readers.


এখনই কিছু তেমন বলা যাচ্ছে না যে পোস্ট মডার্ন সাহিত্যকে অস্তিত্ববাদের সমতুল্য করা এবং স্লিপস্ট্রিম সাহিত্যের ধারা কে ট্র্যান্সরিয়েলিজম বলে আখ্যা দেওয়া । ব্রোডারিক যদিও যুক্তি দেন যে, সন্ত্রাসবাদ ও স্লিপস্ট্রিম সহ উভয়ই কল্পবিজ্ঞান দ্বারা প্রদত্ত সাহিত্যেরই আর একটি পদ্ধতিটি যা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে পরবর্তী তিন দশক জুড়ে । এই পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে একটা ইনসুলেটরের মধ্যে রয়েছে । পশ্চিমদেশের বৃদ্ধি ও ত্বরণকে আমাদের দেশের মত ডেভেলপিং নেশন এখনো আত্মস্থ  নিতে পারে নাই । যদিও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে উপস্থিত, এই    ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের এমন মোড় ঘোরা এখনো চোখে পড়ে না । উপন্যাস, গদ্য, কবিতার নিজস্ব চরিত্র অনুধাবন করার জন্য সত্যিই আরও তিন দশক আমাদের চেয়ে থাকতে হবে ।



Facebook Comments